আলোচিত বাবা-মেয়েকে নিয়ে যে তথ্য দিলেন কেয়ারটেকার (ভিডিও)

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কেয়ারটেকার জানান, রাত আনুমানিক ৪টা নাগাদ তিনি একটি ফোনকল পান। ফোনে বলা হয়, “আঙ্কেল, আমরা পাঁচ তলার ১৪ নাম্বার ফ্ল্যাট থেকে বলতেছি। আমাদের দরজা কেউ বাইরে থেকে আটকায়ে দিছে।” তিনি বিষয়টি শুনে ফ্ল্যাটে উঠে যান এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে দরজায় নক করেন। এ সময় ওই ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে জানানো হয়, “এখন দরজা খোলা যাবে না, পুলিশ আসবে, তারপর দরজা খোলা হবে।”

পরে পুলিশ এসে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে পুলিশ জান্নাত জাহান শিফাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে এই ফ্ল্যাটে তার চাচাতো দুই বোনকে আর দেখা যায়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফ্ল্যাটে তালা লাগিয়ে চাবি নিয়ে যাওয়া হয়।

তদন্তে জানা যায়, আব্দুস সাত্তার ২০১৯ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সেই নারীরই মেয়ে জান্নাত জাহান শিফা। ওই নারী মারা যাওয়ার পর থেকেই পারিবারিক অশান্তি চরমে পৌঁছে। জানা যায়, শিফা তার বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ২০২২ সালে নাটোরে একটি মামলা করেছিলেন। পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে আব্দুস সাত্তার মেয়ের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে মামলা করেন।

এই বিরোধ থেকেই মূলত হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। জানা গেছে, শিফা আদালতে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন।

Previous Post Next Post